লুতুপুতু লেখা

লুতুপুতু টাইপ বা আবেগি ধরণের লেখা দেখার পর কেন যেন মাথায় সুক্ষ্ম টাইপের ছুঁচো দৌঁড়ায়। ব্যাপারটা কন্ট্রোলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি। মনে মনে আফসোস লাগে, মানুষটা এখনো লেখালেখির ধরণটা বুঝল না। তাদেরও দোষ দিয়ে লাভ নেই। কিছু পাঠকের অতিভক্তি আর নিজেকে দ্বীন-ধর্মের পুরোধা হিসেবে মনে ধারণ করার কারণে এই প্রবলেমটা হয়েছে। 
আমার জুনিয়র এক লেখককে বলেছিলাম, তুমি আমার একটি পেইজে নিয়মিত লেখ। সে জবাবে বলল, লাইক বা পাঠক না হলে আমি লিখে কী করব?
এই কীর উত্তরটা আজ পর্যন্ত তাকে দিতে পারিনি বলে তার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 
আরেকজন গণ্যমান্য লেখকের লেখা পোস্টে কিছু কমেন্ট পড়লাম। খুব তারিফতুরিফ চলল। বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ এবং এই ধরণের বহু খেতাব দেয়া হল। এর মধ্যে একটি হল, তারুণের অহংকার। 
আমি এই তরুণদের মোটামুটি চিনি। বিশেষ করে ফেসবুকে গত কয়েকদিন যাবৎ যে হারে নোংরামি, ইতরামি, মাত্রাতিরিক্ত গালাগালি ও আলেম-উলামাকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ট্রল হয়েছে- এই কারণে তাদের আইডিগুলো আমার চেনা। আমি অত্যাশ্চর্য হয়ে দেখলাম, এই মানুষগুলোই ঐ লেখককে সপ্ত আসমানে তোলার চেষ্টা করছে। আর লেখক তাদের প্রতি উত্তরে জাযাকাল্লাহ, জাযাকাল্লাহু খায়রান বলছেন। মনে মনে হয়তো এরকম কামনা করছেন, দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যেন আমাকে ওপরে তোলার ব্যবস্থা করেন।

Comments