আমরা বাঙ্গালীরা
হুজুগে জাতি। আবেগ, উত্তেজনা, দাপাদাপি
ছাড়া আমরা কোনো কাজ করত পারি না বা করতে চাই না। আবেগ, উত্তেজনা
ছাড়া কাউকে দিয়ে কোনো কাজ করানোও যায় না। প্রতিটি কাজের শুরুতে বিপুল পরিমাণ আবেগ
মজুদ রাখা লাগে। একটু পরপর আবেগ সাপ্লাই হবে। শরীরের রোমকূপ দাঁড়াবে, কাজের গতিও হবে।
কমন কিছু আবেগ, যা সচরাচর শুনতে পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এক সাগর রক্ত, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ। আর
ইসলামিক সোসাইটিতে কিছু আবেগ হল, আকাবীর-আসলাফের আমানত,
দেওবন্দী সিলসিলা, বদরপুরী সিলসিলা,
সহীহ হাদিস, বুজুর্গানের কেরামত,
তিন চিল্লার সাথি। আমি খুব সামান্য বললাম। আরো অনেক আছে। যেগুলো
শোনার পর শরীরের রোমকূপ কেন, আস্ত শরীরটাই জেগে ওঠে।
লাফালাফি শুরু করে। কাছেপীঠে বাশ, গাছ, কিছুই মানে না। তরতর করে ওপরে উঠতে থাকে।
আমি একসময়
মিছিলটিছিলে অংশগ্রহণ করতে খুব ইচ্ছুক ছিলাম। যেখানেই শুনতাম মিছিল হচ্ছে আমিও
সেখানে। একটি মিছিলের কথা বলি, হঠাৎ শুনি, জাফর ইকবালের ফাঁসি চাই। শ্লোগানটা এরকম, “ফাঁসি
ফাঁসি চাই, জাফর ইকবালের ফাঁসি চাই”। মাথা নিচু করে, উঁচু করে বেশ কয়েকবার
শ্লোগানটা ধরি। হঠাৎ মনে হল, জাফর ইকবালের ফাঁসি কেন?
Comments
Post a Comment