লেজুড়বৃত্তি

শেখ হাসিনাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হোক। কথাটা পড়ে হয়তো দুই-চার ভাই ক্ষেপে গেছেন। কথাটা আগে শুনেন, তিনি এখন আমাদের রাষ্ট্রনেতা। এটা তো আমরা সবাই মানি। রাষ্ট্রের জন্য জনগনের জন্য তিনি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করছেন। পাশাপাশি আমরা জনগনের কারনেও তিনি বিভিন্ন দেশে আলোচিত হচ্ছেন, প্রশংসায় ভাসছেন।
এখন বলি, কেন তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া লাগবে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা মোটামুটি শিওর হলাম। আমরা বাঙ্গা

লীরা জাতি হিসেবে লেজুড়বৃত্তি করতে খুব আরাম পাই। যেটাকে সহজ বাংলায় বললে, কথাটা দাঁড়াবে, ালালী। 
প্রথমে আমরা কোনো ব্রান্ডেড কারো ছায়ার তলে থেকে তার পা মালিশ করে করে কানমন্ত্রটানমন্ত্র দিয়ে দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করি। এরপর নিজেকে যখন কিছুটা ব্রান্ডেড করেছি বলে মনে হয়, তখন নিজে ওইরকম দুচারজনকে জমা করে তালিম তরবিয়তের কুশিশ করি।
 
ইতিহাস পড়ে জেনেছি, মোটামুটি স্বাধীনতার পর থেকে আমরা বাঙ্গালীরা দলাদলী করতে অভ্যস্ত হতে থাকি। এর জন্য মারামারি কাটাকাটিও হয়েছে। নিমর্ম বলি হতে হয়েছে, বাঙ্গালীর মেরুদন্ডসমান নেতৃবৃন্দকে।
 
এর আলো ইসলামি রাজনীতিতেও এসে পড়েছে। ফলস্বরূপ ভাঙ্গন হয়েছে। পার্ট হয়েছে। মারামারিও মনে হয়ে কিছুটা হয়েছে।
 
আমরা আমপাবলিকরা মনে করতাম, একমাত্র তাবলীগ জামাতে বিভক্তির রেখা নেই। মারামারি তো অনেক পরে। দলাদলী, ভাঙ্গন, হাঙ্গামার মতো মহান ফযিলতসম্পন্ন কর্মগুলো থেকে তারা কেন বঞ্চিত হবেন? তারাও শুরু করে দিয়েছেন। আসলে শুরু অনেক আগে হয়েছে। এখন মধ্যাহ্ন বলা উত্তম হবে।
গিনেস বুক রেকর্ডওলারা বাঙ্গালীদের প্রাপ্য দিচ্ছে না। এতো মহান একটি আদর্শ বাঙ্গালীরা লালন করে। ব্যাটারা এটাকে স্বীকৃতি দিবে তা না করে বসে বসে ইউটিউবে তামিল ফিল্ম দেখছে।
গিনেস বুক রেকর্ডওলারা তো চিনল না। তার মানে তো এটা না যে, বাঙ্গালীদের, বাঙ্গালীদের মহান গুণাগুণ বিশ্বের মানব সম্প্রদায় চিনবে না।
আমি চাই, বাঙ্গালীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হোক।


Facebook Page Bangla Series 

Comments