ভাবনা

ফেসবুকে মোটামুটি দুই ধরণের মানুষকে খুব পাওয়ারফুল অবস্থায় দেখা যায়। এক রকমের আছে যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে বিছানায় শুয়ে চোখ জোড়ানো পর্যন্ত যা কীর্তিকলাপ (বেশিরভাগ কুকীর্তি) করেছেন সবকিছু সহীহ এবং নির্ভরযোগ সূত্রের আলোকে বর্ণনা করেন। তিনি যে সমাজের জন্য মানবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেটি বিভিন্নভাবে উপস্থাপনের জোর চেষ্টা করেন। তার মতো ব্যক্তির জন্ম না হলে এই জাতির যে কী হতো! সমাজ তো গোল্লায়াই যেতো।
আরেক ধরনের ভাই-বেরাদরকে পাওয়া যায়, যারা নীতির জন্য জীবন উৎসর্গ করে ফেলেছেন। তারা ফেসবুক আসার আগেই এই নীতির চর্চা করতেন। কে কী বলল, কে কী করল, সেটার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। তাদের এই নীতির চর্চার হাল-হকিকত দেখলে অবশ্যই মনে হবে, ধর্মের ক্ষেত্রে মহানবী সা. এবং দেশের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু তাদেরকে লীজ দিয়ে গেছেন। তারা যেটা বলবে সেটাই সঠিক এবং সহীহ। সঠিক এবং সহীহ উভয়টি একই অর্থ বুঝায়। কিন্তু এখানে সহীহ দিয়ে কিছু ভাইকে বুঝালাম, যারা হয়তো সঠিকের মানেটা ঠিক বুঝবে না। কথা বলার আগেই সহীহ বলে থাকে। মহানবী মেরাজের রাতে কোন এক আসমানে কিছু মানবকে দেখেছিলেন গোস্ত ভক্ষণ করতে, আমার মনে হয়, এদেরকেই দেখেছিলেন।
সমস্যা তো নিজেকে নিয়ে। কী হতে চাই? নিজেকে এখনো কোন কাতারে ফেলব বুঝতে পারছি না। তবে এটা বুঝতে পারছি, যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। সমাজ এবং জাতির অবধারিত অংশ হবো নাকি নীতির চর্চা করে মাংসের টোকরো চিবিয়ে খাব।

Comments