মুখ ভরে হাওয়া
বের করি। খুবই সুক্ষ্ম একটি শব্দ হয়। এই হাওয়া এবং শব্দের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত।
খুব ভালো করেই পরিচিত। যখনি আমাদের কোনো কিছুতে অসহায় মনে হয় বা নিজেকে তুচ্ছ মনে
হয় তখনি এই আচরণটা করি। এই আচরণটা করার মধ্যে এক ধরণের সুখ আছে। আমাদের ব্যর্থতা
বা অসহায়কে তাড়িয়ে দেয়ার সুখ। এটা আর কিছু না, উফফ বলে যে পেটের
গভীর থেকে যে হাওয়া বের করি।
ঢাকার মিরপুর
স্টেডিয়ামের কাছে এক লোক পান বিক্রি করে। সে ইউটিউবে দেখে একধরণের পান বানানোর
কৌশল আয়ত্ব করে। ফায়ার পান। কাষ্টমার মুখ হাঁ করবেন পান বিক্রেতা তার মুখে পানের
অন্যান্য আইটেমের সাথে লকলক করতে থাকা আগুন মুখে ভরে দেবেন। ব্যাপারটায় একধরনের
অ্যাডভেঞ্চার আছে। শুধু অ্যাডভেঞ্চার না পানটা অনেক মজাদার।
এই ফিচারটা
প্রথম আলো ছেপেছে। আমি খুব কৌতুহলের সাথে ফিচারটি পড়ি। খুব ভালো লাগল, ইউটিউবের কল্যাণে বা ইন্টারনেটের কল্যাণে একজন পান বিক্রেতা তার
ব্যবসায় একধরণের নতুনত্ব আনতে পারছে। সে বুঝতে পারছে ছোট্ট একটি কাজের মধ্যে অনেক
কিছু লুকিয়ে আছে।
কিন্তু এখানেও
সমস্যা। এক ব্যক্তি কমেন্টে করলো। সে বুঝালো আমরা বাঙ্গালীরা শুধুই অনুকরণ করতে
ভালবাসি। আমি তার কমেন্ট পড়ে অটোমেটিক উফফ বলে আফসোস করি। আমার মনটা কিছুটা
অন্যমনষ্ক হল। আমরা কি কখনো কাউকে সাপোর্ট করব না? কারো কাজের
তারিফ করতে পারব না?
Comments
Post a Comment