প্রায় সাত-আট বছর হলো,
লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। আসলে যুক্ত বলাটা ঠিক হবে না। কারণ
আমি লাগাতার লেখালেখি করি না। লাগাতার না লেখার কারণ আমি নিজে অনুসন্ধান চালিয়েও
খুঁজে পাইনি। তবে এতটুকু বুঝতে পেরেছি, আমি লেখার যে
উপাদান পাই এই বিষয়ে লিখতে পারি না। আর যে বিষয়ে লিখতে পারি, সেই বিষয়টা আমার বাস্তবচক্ষে খুব একটা পড়ে না। বলা যায় নিতান্তই
কল্পনা প্রসূত লেখা লিখতে হবে। যে যাই বলুক, লেখা কখনো
সম্পূর্ণ কল্পনা প্রসূত হতে পারে না। হয়তো বাস্তব কাহিনী একদিকে মোড় নিয়েছে লেখার
গতি-প্রকৃতি অন্যদিকে।
আমি যে কালচারে বড় হয়েছি অন্য সাধারণ কালচারের মতো এখানেও
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ,
আনন্দ-বেদনা আছে। তবে অন্য কালচারের যেমন প্রশংসা করা যায় তেমনি
অশোভনীয় কাজের ক্ষেত্রে নিন্দা করা যায়। আমার কালচারে এটা সম্ভব হয় না। শুধু
প্রশংসা আর প্রশংসা। ব্যতিক্রম হলেই...।
ছোটবেলা থেকেই আমি একটু গাঁড় ত্যাঁড়া মার্কা। স্রোতের অনুকূলে খুব
একটা আরাম পাই না। চাই নূতন কিছু করতে। নূতন কিছু করতে যা হয় আর কি। চর্তুদিক থেকে
বাঁধার কালো হাত নেমে আসে। আমি বাঁধার এই শক্ত কালো হাত ভেঙ্গে অন্ততপক্ষে মচকে
দিতে যাই। তখনি থমকে দাঁড়াতে হয়। খুবই একাকিত্বে ভুগি। অসহায় হয়ে পড়ি। ধীরে ধীরে
হতাশার অন্ধকার গহ্বরে হারিয়ে যেতে থাকি।
দেয়ালে পিঠ লাগলে লোকেরা কি করে সবারই মোটমুটি জানা। আমারও দেয়ালে
পিঠ লেগে গেছে। যা কখনো এতটুকু করতে মন চায়নি তা এখন সহজ সাবলীলভাবে করি। আশপাশের
দশজনকে বোঝাই এই মহান কাজ করতে আমার যারপরনাই আনন্দ লাগছে। আমি অত্যন্ত খুশি।
Comments
Post a Comment