ডিপ্রেসন


আজ বিকেলে আমার খুব বেশি ডিপ্রেসনে পায়। এটা আমার অনেক পুরাতন রোগ। আগে আমি এতটা অনুভব করতে পারি নি। এখন হাড়ে হাড়ে ঠের পাচ্ছি। আমিও  ঠের পেতে দিচ্ছি। কারণ এতদিন অনুভূত না হওয়ার কারণের মধ্যে অন্যতম হল, আমি সবসময় কল্পনায় ডুবে থাকতাম। মস্তিষ্কে উত্তেজনা সারাক্ষণ ভর করত। আমি সেই উত্তেজনার ভেলায় নিজেকে চাপিয়ে দিতাম। ফল স্বরূপ প্রতিটি কাজে অলসতা। অথচ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার যোগ্যতার স্বাক্ষর আছে। আমি এক সময় পুরোধমে লেখালেখি করতাম। মাথার ভেতর গল্প-উপন্যাসের পটভূমি বিচরণ করত। আমি নিজেকে একজন লেখক হিসেবে দেখতে চাইতাম। কিন্তু আমার এই ডিপ্রেসন আমাকে আমার এই লক্ষ্যচ্যূত করতে বাধ্য করে। আমি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চেয়েছিলাম। পারলাম না। একজন দক্ষ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান মাওলানা হতে চেয়েছিলাম। এখানেও ব্যর্থতা।
আমার এই সর্ব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার মূল কারণ, এই ডিপ্রেসন। যা আমি সেই শৈশব কাল হতে নিজের অজান্তে লালন করে আসছি। আমি কত কিছু করেছি, কিন্তু কোন সুফল পাই নি। ব্যর্থতার এই ধারাবাহিকতায় একসময় আত্মহত্যার কথাও চিন্তায় আসত। কিন্তু একটা কথা সারাক্ষণ আমার মাথায় বাজত। আমার টার্গেট কখনো মিস হয় না
কথাটা নির্জলা সত্যি। আমার টার্গেট কখনো মিস হয় নি। কিন্তু প্রতিটি টার্গেট ফিল-আপের পর আমার আর ভালো লাগে না। অর্থাৎ সেই টার্গেট অবধি পৌঁছা। সাকসেসকে বা এই সাকসেসের চূড়ান্ত ধাপে কখনো পৌঁছতে পারি না। তখনি আমার মরণের কথা মাথায় আসে। তখন আরেকটি কথা মাথায় বাজে। তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হইও না

আমি আসলে কখনো চূড়ান্ত পর্যায়ের হতাশ হই নি। আমি বারে বারে পা পিছলেছি, বারে বারে সবলে দাঁড়িয়েছি। আমি নিশ্চিত, একদিন মঞ্জিলে মাকসুদে পৌঁছব।

Comments