আমার একজন শ্রদ্ধেয়
শিক্ষক আমার ব্যাপারে বলেছিলেন, তুমি একটা উচ্ছৃঙ্খল টাইপের ছেলে। তোমার দ্বারা
কিছু হবে না।
কথাটা অন্যভাবে হয়তো
ছিল। এখন পারফেক্ট কথাটা মাথায় আসছে না। তবে মফহুম এটা যে ছিল, তা বলাই
বাহুল্য।
আমি সেই আন্ডা-বাচ্ছা
থাকার সময়েই অনেক ইনসাল্ট,
অবহেলার শিকার হয়েছি। সব যে আমার কর্মফলের কারনে হয়েছে এটা না।
জাস্ট হিংসা, পরশ্রীকাতরতার কারনে। আমি আমার শৈশবকালটা
আনন্দের পরিবর্তে মানসিক এক প্রকার যন্ত্রণায় কাটিয়েছি।
এখন এই পূর্ণ যুবক
বয়সেও সেই যন্ত্রণার গভীর আঁচড়টা কাটাতে পারছি না। গত চার-পাঁচটা বছর শুধু একটা
চিন্তা করেছি। আমি কেন সফল হতে পারছি না। আসলে কথাটা এরকম না। আমি কখনো ব্যর্থ হই
নি। তবে কোন একটি ক্ষেত্রে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে পারি নি। আমি তো এক প্রকার
বলে বেড়াতে শুরু করি,
তীরে এসে আমার তরিটা ভেড়ে না। এর সুষ্ঠু কোন কারনও খুঁজে পাই না।
সাধারণত আমি দেখেছি, লোকেরা যে কাজে অনেক দিন কাটিয়ে তবেই
না একটা ফলাফলের আশা করে। আমি সেখানে মুষ্টিমেয় কিছুদিন ট্রাই করেই সফলতার স্বাদ
পেয়ে যাই। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত হতে পারি না। আমি বিমর্ষ হই, তবে হাল ছাড়ি না। কেন যে ছাড়ি না তাও বুঝি না। তবে এই কাজে আর এগুতে
পারি না। অন্য একটা কাজে যেকোন ভাবেই হোক হাত দিয়ে বসি। সেখানেও একই দশা।
আমার এই অবস্থটা
কাটাতে আমি যারপরনাই চেষ্টা করে আসছি। ইদানিং কিছু একটা সফল হয়েছি। আশা করছি, আগামিতে আরো
সফল হবো। আমি আমার কাঙ্খিত লক্ষে এগিয়ে যাব।
Comments
Post a Comment