কি যে লিখব খুঁজে পাচ্ছি না। বেশ কয়েকদিন ধরে এমন অবস্থা হল কেন, বুঝতে পারছি না। সহজ সংক্ষেপে একটা কৌতুক বলি। কার কাছ থেকে যেন শুনেছিলাম। তবে এরকম নয়।
এক লোক চারটা বিয়ে করেছে। পাড়া-প্রতিবেশিরা হায় হায় করে উঠল। এই সেরেছে! এই গর্দভটা করলটা কী? এক বউকে খাওয়াতে পারবে না। চার-চারটা বউকে কীভাবে খাওয়াবে ? তার ওপর বছরে বছরে যে সব আওলাদের আগমন ঘটবে, ওদের কি হবে? শালা আস্ত বেয়াক্কেল!
প্রায় মাসখানেক কেটে গেল। দেখা গেল, লোকটার অবস্থা দিন দিন তরক্কি হচ্ছে। বেকার অলস লোকটার কী করে উন্নতি হচ্ছে, সকলের কৌতুহল হল। সবাই দল বেধে তার বাড়িতে গিয়ে হাজির।
লোকটার কাণ্ডটা দেখে সবার চোখ কপাল বেয়ে একেবারে মাথায় গিয়ে ঠেকেছে। সে একমনে এক হাজার টাকার নোট গুনছে আর বান্ডিল বান্ডিল করে সিথানের পাশে রাখছে। প্রায় আধ ঘন্টা লেগে গেল, তার এই হিসেব-নিকেশ করতে করতে।
সে ক্লান্তিতে চোখ বুজে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ল। বলল, কী জন্যে এসেছ? তাড়াতাড়ি বলে কেটে পড়।
গাঁয়ের লোকরা আর কী বলবে? তারা ঘোরের মধ্যে আছে। চোখ বড় বড় হয়ে আছে। মুখটা হা করা, একেবারে তিমি মাছের হা করা মুখের মতো। মনে মনে বলছে, বাপ-দাদাও কী এতটাকা একসঙ্গে দেখেছে?
লোকটা তাড়া দিল, আরে হল কি? ত্যাবদা মেরে আছো ক্যা? যা বাপু যাও। এমনিতেই মেজাজটা খারাপ আছে। ছোট বউটা আজ টাকা কম দিয়েছে। শালি আজ আসুক মজা দেখাব? দশ হাজার টাকার চাকরি করবে, আর আমার কাছে জমা দিবে, আট হাজার টাকা! স্পর্ধা কত!
কলাপাতা
Comments
Post a Comment