কোনো উপন্যাস কিংবা কবিতা পড়ার সময় মনে
হয়; এগুলো কি আর এমন পরিশ্রমের কাজ। কাগজ কলম নিয়ে বসলে মিনিটে দশ পৃষ্ঠা লিখে
ফেলতে পারব। আর যারা একটু অ্যাডভান্সড, তারা ভাবে, কম্পিউটারের সামনে বসলে এমনিতেই
টাইপ হয়ে যাবে। মাথায় আসবে আর কী-বোর্ডের বাটনে ঠুশঠাশ করলেই হবে।
এতটাই সহজ!
কাগজের পাতা টেবিল রেখে কালম কামড়াতে
কামড়াতে কলমের বারোটা বাজার উপক্রম। কিন্তু লেখার কোনো হদিস নাই। এমনিভাবে আমার
মতো যারা ল্যাপটপের কী-বোর্ড কিংবা ডেস্কটপের কী-বোর্ড সামনে নিয়ে বসেন। কিছু
লিখবেন ভাবছেন। মাথায় কোনো ইলহামের অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু ইলহাম তো আসে না।
তখন কী মনে হয়? কী-বোর্ডটাকে শসা বানিয়ে কচকচ করে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা হয় না! আর কারো
হয় কি না জানি না। তবে আমার হয়।
আমার বাল্যকালের এক বন্ধু কিছু গ্রাম্যপণ্ডিত
সম্বন্ধে বলছিল, “ওরা সারা আমাদের কাছে পণ্ডিতি জাহির করে ফেলে। ম্যাগাজিন কীভাবে বের
করব। কীভাবে লেখা সেট করব। সব তারা বলে দেয়। দেখো তো অবস্থ! এক অক্ষর লিখতে পারে না। দশটা কলম কিনতে হয়।
আমি জিজ্ঞাসুনেত্রে বলি, দশটা কলম কিনতে
হয় মানে কি?
সে ঝাঁঝের সাথেই বলে, ওই যে লিখতে গিয়ে
কলম ভেঙ্গে যায়!
Comments
Post a Comment