“মানুষ পরিবেশের গোলাম’। কে যেন বলেছিল। মনে নেই। কোনো বিখ্যাত লোক হবে না নিশ্চয়ই। নইলে নামটা অন্তত মনে থাকত। আমার আবার কর্মের চেয়ে উপদেশ মনে থাকে বেশি। অপরজনকে বয়ান করার জন্যে।
আমার চলাফেরায়,
আমার আচার-আচরণে আমার নিকটজনেরা মারাত্মক বিরক্ত। খুবই অসুন্তুষ্ট। কারণ আর কিছু
না। আমার পোষাক-পরিচ্ছেদ চেঞ্জ হয়েগেছে। নীতি-নৈতিকতা বর্জিত হয়েগেছে। কিছু অশোভ
ছায়া ডালপালা মেলে আমার স্কন্ধে ভর করেছে। আমার জীবনধারা তরীকতে তসলিমা নাসরীন,
জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আজাদের দিকে মোড় নিয়েছে। মোটামুটি হক্কানী-ফুরকানী-চুলকানি
এন্ড খাউজানীর সরল সোজা রোড থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।
এই গুণধারী
ব্যক্তি কখনো ভালো কাজ করতে পারে না। তার মুখ থেকেও ভালো কথা বের হবে এই আশা করাও
যায় না। কলম থেকে তো নয়ই। কিন্তু কয়েকদিন থেকে লক্ষ করছি। একটি ডেঞ্জারাস ভালো কথা
আমার মুখ দিয়ে বের হচ্ছে। কোনো কষ্ট করে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে না। একেবারে অবলীলায়।
কয়েকদিন আগে
তাবলীগে গিয়েছিলাম। তাবলীগে আল্লাহ’র রহমতে ইনশাল্লাহ’র বহর থাকে। আমার মনে হয়েছিল, আল্লাহ পাক দুনিয়ার তাবত
ইনশাল্লাহ তাদেরকেই দান করেছেন। যেমন খাবার আগে “ইনশাল্লাহ ভাই খেয়ে নিই আমরা” খাবার পরে “ইনশাল্লাহ ভাই, খেয়ে ফেলেছি আমরা”। ওগায়রাহ ওগায়রাহ।
একজনকে তো ধমক
দিয়েই দিয়েছি। আরে ব্যাটা, সবখানে ইনশাল্লাহ বলে মুখে ফেনা তুললে আলহামদুলিল্লাহ,
সুবহানাল্লাহ’রা
কোথায় যাবে? ভেবে দেখেছো একবার? সে বোধহয় আর ভেবে দেখে নি। পরেও তাকে দেখেছি অযাচিতভাবে
ইনশাল্লাহ বলতে।
তার সেই অভ্যাসটা
আমার কাছে চলে এসেছে। ব্লুটুথের মাধ্যমে নাকি ইউ এস বি ক্যাবলের মাধ্যমে
ট্রান্সফার হয়েছে; আল্লাহই জানেন। প্রায় সবসময়ই আমার কথায় ইনশাল্লাহ চলে আসে।
Comments
Post a Comment