আমি দাঁড়িয়ে আছি
মেয়েটির থেকে পাঁচ-ছয় হাত দূরে। মেয়েটিকে প্রায় ফলো করছি বলা যায়। এসেছি প্রকৃতি
দেখতে; ফলো করছি মেয়েটিকে। কি আর করা, তরুণ ছেলেদের কাছে প্রকৃতির বিপুল ঐশ্বর্য
থেকে একটি মেয়ের রূপ বেশি টানে।
বিভিন্ন
পত্রপত্রিকায় পড়ি। সিলেটের মালিনীছড়া চা-বাগানের কথা। এই সিলেটে এতদিন ধরে থেকেও
সেটা দেখতে পারছি না। তাই আজ দেখতে এলাম। প্রকৃতির প্রতি মোটামুটি একটা টান আমার
আছে। সুযোগ হয় না। কিন্তু আজ আসাটা আমার পুরোপুরি মাটি হয়েছে। কি প্রকৃতি দেখব?
ফলো করছি, একটা সাধারণ ঘরের বধুকে। হ্যাঁ মেয়েটি বিবাহিত। তাঁর স্বামী সাথে আছে।
সে এই সাথে থাকা পর্যন্তই। শালাটা দূর ঠিক হয় নি; সে আর যাই হোক; একটা ভদ্রঘরের
সন্তান। স্বামীটা এক্কেবারে বলদ। এত সুন্দর এত সুইট মেয়েকে কিভাবে যে পেল! এরকম
মেয়েকে পাওয়া বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার।
মেয়েটি মাঝেমাঝে
ছেলেটির দিকে তাকিয়ে কি যে সুইট হাসি দেয়! আমার হৃতপিণ্ড তড়াক করে লাফ দিয়ে ওঠে।
কিন্তু ছেলেটি নির্বিকার।
সবাই টিলায় উঠছে।
মেয়েটি বায়না ধরল। টিলায় উঠবে। স্বামীটা দু’পা উপরে উঠে কমরে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। বিরক্তিভরে বলে, কি
দেখবে উপরে? নটা-নটিরাই উপরে উঠছে। ঐ যে দেখছ না। মনে হচ্ছে আজ তাদের বিয়ে হচ্ছে।
মেয়েটি মুখ কালো করে ওপরে টিলার দিকে চেয়ে থাকে।
আমার মনে হয়েছে ঐ
বলদটাকে গলায় টিপা মেরে দেই। ওকে শালা বলাই ঠিক হয়েছে।
www.facebook.com/groups/kolapata.adda
Comments
Post a Comment