আমার বয়স তখন কম
হলে কী হবে? ইঁচড়ে পাঁকা ছিলাম। তাদের মতলব ধরে ফেলি। কিন্তু কিছু বলতে পারব না।
ওরা আমার অনেক বড়। মারতে পারে। বখাটে টাইপের ছেলে তো!
আমি মুখ ভার করে
বললাম, হ্যা, ভালো আছে।
তাকে একটা জিনিষ
দিতে পারবে?
আমি মাথা কয়েকবার
ওপর-নিচ করলাম।
তারা দেখি
ততক্ষণাত একটা কাগজে কী লিখে ফেলে। লিখে আমার হাতে ধরিয়ে দেয়। আমি বোকার মতো সেটা
প্যান্টের পকেটে চালান করে দিই। তারা আমাকে দুই টাকার একটা কড়কড়ে নোট ধরিয়ে দেয়।
বলে, কিচ্ছু খেয়ে নিও।
আমি বাড়ি যেতে
যেতে চিরকুটটা বের করি। দেখি জাস্ট একটি বাক্য লেখা। “আমরা তোমারে অনেখ বালা ফাই”
আমি ছিঁড়ে কুটিকুটি
করি। তারপর ধলা বানিয়ে কিক করি। তা বাতাসে দোল খেয়ে এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
আনমনে হাসি. রাহেনা আপা আপা চাচাতো বোন হলেও তাকে আমার নিজের বড় বোনের মত শ্রদ্ধা
করি। প্রায়দিন তার হালকা-পাতলা তাপ্পড়তোপ্পড়ও খেয়েছি। এখন যদি এই কাগজটা তাকে দিই
কি যে করবে! আস্ত কাঁচা খেয়ে ফেললেও কম হবে!
মাঝে মধ্যে এই
ঘটনাটা মনে পড়ে। বিশেষ করে কারো প্রেমের কাহিনী শোনলে। মনে মনে খুব হাসি। ভাবি “একেই বলে গাওয়ালী ফেম”
Comments
Post a Comment