ষড়যন্ত্র


আমার খুব উৎকণ্ঠা হচ্ছে। বাংলাদেশ কি বুখারা সমরকন্দের মতো হয়ে যাবে। যেখানে এক সময় ইসলামের আলো জ্বলজ্বল করতো। কুরআন হাদীছের অমীয় বানী গুঞ্জরিত হত। সেখানে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মসজিদ মাদরাসা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলো। আলিম-উলামাদের গণহারে হত্যা করা হলো। ইসলামী ভাবাদর্শ বিশ্বাসীরা অত্যাচার, অপমান ও ঠাট্টার খুরাকে পরিণত হলো। অথচ কিছুদিন পূর্বেও ইসলামী ব্যক্তিরা বীরদর্পী অবস্থানে ছিলেন।
চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদরাসায় ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সে কথা মনে উদয় হওয়া অস্বভাবিক নয়।
ঘটনা যাই হোক। ঘটেছে সকাল এগারোটায়। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তন্ন তন্ন করে তালাশি করে কিছু পেলনা, আর কিনা রাতের আঁধারে ৭০-৮০ টা তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেল।
পত্রিকার বিবরণ পড়ে বুঝা যায়। এটা মারাত্মক রকমের ষড়যন্ত্র। যা বুখারা সমরকন্দের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয় বলেছিলেন, প্রতি তিনজন স্কুল ছাত্রের বিপরীতে এখন একজন মাদরাসার ছাত্র তৈরী হয় এটা কমিয়ে দিতে আমরা এরই মধ্যে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছি তার মাথা ব্যাথার কারন ছিল, মাদ্রাসার ছাত্র কমালে আওয়ামীলীগের ইসলাম বিরুধী কাজ করতে অসুবিধা হবেনা।
জয়ের কথা আর লালাখান বাজার মাদরাসা তালাবন্ধ এক সুতোয় গাঁতা বলে মনে হওয়া অমূলক নয়।
আসলে বাংলাদেশ যে শক্তের ভক্ত, নরমের যম। সেটা বরাবরের ন্যায় আবারো প্রমানিত হলো। মাদরাসা হওয়ায় আইপিএসের ব্যাটারী, কম্পিউটারের ইউপিএস আর ল্যাপটপের ব্যাটারী চার্জার মারাত্মক রকমের বোমা হয়ে যায়। অথচ দেশের প্রায় সব কটি কলেজ ভার্সিটিতে তল্লাশি চালালে শত নয়  হাজারও নয় লাখ লাখ অগ্নেয়াস্র, গোলাবারুদ, দা, কুড়াল, চাপাতি পাওয়া যাবে। তল্লাশি লাগবেনা, দর্শকের মতো ঘুরাঘুরি করলেই অনেক অস্র পাওয়া যাবে।
কিন্তু সেখানে তল্লাশি তো দুরের কথা, ভয়াবহ কাণ্ড ঘটলেও কিছু হয়না।
                                 
                                                           ১০-১০-১৩

Comments